টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ডিবি পুলিশ ছদ্দবেশী দুই অপহরণকারীকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এ সময় উত্তেজিত জনতা অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কোষমাইল এলাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘাটাইলের সলিং বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত ওই অপহরণকারীর কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ মাকছুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কোষমাইল গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে তানজিল (১৪)। সে ফুলবাড়িয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে অপহৃত ওই স্কুলছাত্র কোষমাইল এলাকার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা ওই প্রাইভেটকারে থাকা ছদ্দবেশধারী অপহরণকারী ডিবি পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রের নামে থানায় মামলা আছে বলে জোড়পূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে ঘাটাইল উপজেলার গারোবাজারের দিকে রওনা দেন।
এছাড়াও অপহৃত ছাত্রের মোটরসাইকেলটি চালিয়ে যেতে থাকেন অপর এক অপহরণকারী। তবে ঘটনাটি এলাকাবাসীর কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় তারাও প্রাইভেটকারটির পিছু নেন।
গারোবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাহাদুর জানান, অপহরণকারীদের পিছু নেয়ায় অপহরনকারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ চেষ্টা স্বত্তেও পালাতে ব্যর্থ হয়ে উপজেলার সলিং বাজার এলাকায় নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। তবে পিছু নেয়া বিক্ষুদ্ধ জনতা দুই অপহরণকারীকে আটক করে গনধোলাই দেয়। তারা অপহরন চক্রের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গণধোলাইয়ে আহত ওই অপহরণকারীদের সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমা জানান, গনধোলাইয়ের শিকার ওই দুই অপহরণকারী শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো আহত অপহরণকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাকছুদুল আলম জানান, অপহরণের ঘটনাটি ফুলবাড়িয়া থানা এলাকার হওয়ায় অপহৃত স্কুল ছাত্র তানজিল ও আটক দুই অপহরনকারীকে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।