টাঙ্গাইল ১২ ডিসেম্বর : টাঙ্গাইলে মায়ের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের মেয়ে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় টাঙ্গাইল প্রেসকাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় ছাত্রীর বাবা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্কুল ছাত্রী বলেন, আমি একজন নাবালিকা মেয়ে। আমার মা মোছা. শাহনাজ আক্তার (৩৩) বাসাইল উপজেলার বর্ণি কিশোরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। আমার বাবা প্রবাসে থাকা কালীন (২০০৭-২০১৮ সাল পর্যন্ত) আমার মায়ের পূবালী ব্যাংকের একাউন্টে (হিসাব নং৩৪২৫১০১০৪৩৪২০) ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২ টাকা পাঠিছেন। এ ছাড়ার মাকে বাবা বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১৬ বড়ি স্বর্ণালংকার ও সখীপুর মৌজায় জমি কিনে দিয়েছেন এবং আমার নানার বাড়ি দুটি টিনের ঘরও নির্মাণ করে দেন। আমার বাবা বিদেশে থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরদিঘুলিয়া গ্রামের হাসান মাষ্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুনের (মাসুম) সাথে আমার মায়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক হয়। পরে সেই বিষয়টি আমি জানার পর মাকে ওই সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে বলে একাধিকবার আমাকে মারধর করে। নানাভাবে বুঝিয়ে কোন লাভ হয়নি। গত ৮ নভেম্বর আমার মা নগদ ২০ লক্ষ টাকা ও ১৬ বড়ি স্বর্ণ নিয়ে এবং আমার ছোট ভাইকে (২.৫ বছর) নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি ও আমার বাবা বিভিন্ন এলাকা এবং আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মা মনিরুজ্জামানের মামুনের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ৩০ নং বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে আমার বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাসাইল থানা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ছাত্রী আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার পর থেকে মনিরুজ্জামান মামুন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি, ধামকি দিয়ে আসছে। আমি মানুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মাকে আমি ফেরত চাই। মাকে নিয়ে পূর্বের ন্যায় যেন আমরা সংসার করতে পারি সেই প্রত্যাশা কামনা করছি।