গণবিপ্লব রিপোর্টঃ
মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আমি সাবেক মন্ত্রী কিন্তু আওয়ামীলীগার, আওয়ামীলীগ আমার চেতনা। মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল আওয়ামীলীগার ছিলেন- আমিও আওয়ামীলীগার। তার হাত ধরে অনেকেই ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ঢুকেছে। টাঙ্গাইলে প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ নেতা বলেন, শামসুর রহমান খান চলে গেছেন- আজ মুকুল ভাই চলে গেলেন; এখন ফজলুর রহমান ফারুক আর আমি ছাড়া টাঙ্গাইলে নেতা বলার মতো কেউ রইল না। তিনি মঙ্গলবার(৫ এপ্রিল) বিকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্য মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলের জানাজা নামাজের আগে প্রদত্ত স্মৃতিচারনমূলক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের আত্মার শান্তি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপি, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, অনুপম শাজাহান জয় এমপি, মরহুমের বড় জামাতা ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, মরহুমের মেঝ ছেলে ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মির্জা মইনুল হোসেন লিন্টু প্রমুখ।
মরহুমের জানাজা নামাজে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন, পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলমগীর খান মেনু, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সহ জেলা-উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। উল্লেখ্য, সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি ৩ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।