মো.আল-আমিন খান:
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে চলেছে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার। তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
গত ৭ মাস পূর্বে কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন বেলটিয়া গ্রামে যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে দুইটি ড্রেজার পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় হযরত আলী তালুকদার ও তার সহযোগীরা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে ৫ মাস বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার পর পুনরায় দুইমাস ধরে বালু উত্তোলন শুরু করেছে তারা। এ কারণে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নতুন করে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নি:স্ব হতে চলেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্ব সংযোগ সড়কের পুর্ব থানার পশ্চিম পাশের হাতিয়া, বেলটিয়া, এলেঙ্গা ও বিনোদলুহরিয়ায় ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) এর জায়গায় অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত দুই মাস যাবৎ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সেখানে থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। ফলে নদী ভাঙ্গনের সাথে চরম হুমকির মুখে রয়েছে ট্রাক যাতায়াতকারী রাস্তাার উপর দিয়ে যাওয়া গ্যাস পাইগুলো। স্থানীয় এলাকার মজিবর রহমান ও আনসার আলী জানান, তাদের বাড়ি ছিল নদী থেকে এক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। এখন এভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে নদী একেবারে বাড়ির কাছে এসে পড়েছে। একই সাথে যে রাস্তা দিয়ে বালু ট্রাক ভর্তি করে নেয়া হয় সেই রাস্তার উপর দিয়ে গ্যাস পাইপ বসিয়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে। সেটিও এখন হুমকির মুখে। বার বার নিষেধ করেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো হুমকির সম্মুখিন হতে হয়েছে তাদের। নদী ভাঙনের বিষয়ে (এষ্টেট) এর উপ-পরিচালক মো. আশরাফ আলী খান টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য গত (৫ সেপ্টেম্বর) একটি আবেদন করেছেন।
এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে হযরত আলী তালুকদার বলেন, এই বালুর ঘাটটি সরকারিভাবে লিজ নেয়া হয়েছে। আর আমি বৈধভাবেই বালু উত্তোলন করছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।