টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলে ধরা সন্দেহে মিনু মিয়া (৩০) নামের এক ভ্যান চালককে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২১ জুলাই কালিহাতী উপজেলা নারান্দিয়ার সয়া হাটে ছেলে ধরা সন্দেহে চালানো হামলার ঘটনায় আহত ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী গ্রামের ভ্যান চালক মিনু মিয়ার ভাই রাজিব হোসেন সোমবার রাতে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার নাগা চৌধুরীবাড়ী গ্রামের মৃত তরিকুল আলম সিদ্দিকীর ছেলে মাইনুল হক হিটু (৩৭), নাগা গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র মালুর ছেলে প্রভাত চন্দ্র মালু (১৯), ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন খান এর ছেলে শিশির আহম্মেদ খান (৩২), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান তালুকদার (৪৭), আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে ওমর (৩২) এবং পালিমা গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে আলামিন ইসলাম (১৯)। দ্রুতই গ্রেফতারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।
এ সময় তিনি আরো জানান, ২১ জুলাই একইদিন জেলার তিন উপজেলায় ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন তিন ব্যক্তি। তবে ওই গণপিটুনিতে আহত কোন ব্যক্তিই ছেলে ধরা ছিলো না। এ ধরণের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে তিনি অনুরোধ করে বলেন, যদি কাউকে এ ধরণের অপরাধী বলে সন্দেহ হয় তাহলে তথ্যটি দ্রুত পুলিশকে জানানোর কথা জানিয়েছে তিনি। এ ধরণের অপরাধ দমনে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই জেলার তিন উপজেলায় ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার তিনজন। আহতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলা নারান্দিয়ার সয়া হাটে গণপিটুনিতে আহত ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী গ্রামের ভ্যান চালক মিনু মিয়া, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কান্দিলা গ্রামে আহত হন গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আকাশ ও ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া ব্রীজ এলাকায় গণপিটুনিতে আহত হন ওই উপজেলার সিংগুরিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে কাভার্ড ভ্যান চালক সোহরাব (৩২)।