গণবিপ্লব রিপোর্টঃ
দেশের পাঁচ বিশিষ্টজনকে সম্মাননা দিয়েছে ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতি। শনিবার(২৮ নভেম্বর) সমিতি আয়োজিত বার্ষিক ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলনমেলা উপলক্ষে এ পদক দেয়া হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। প্রতিবছর পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে পদক দেয়া হয়।
‘চট্টল সুহূদ’ হিসেবে চট্টগ্রামের শিক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এবার পদক পেয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এছাড়া জনপ্রশাসনে অবদানের জন্য সাবেক সচিব এমএম নাসরুল্লাহ খান, শিক্ষা-অর্থনীতি গবেষণায় ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সমাজসেবায় মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং চক্ষু চিকিৎসায় ডা. রবিউল হোসেনকে পদক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পদক তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি লায়লা সিদ্দিকী। মেজবানের সফলতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সমিতির সভাপতি লায়লা সিদ্দিকীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন তাঁর(প্রধানমন্ত্রীর) সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিঞা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।
প্রতিবছরের মতো এবারের অনুষ্ঠানেও ছিল নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দিনভর চলে ওই উৎসব। আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এছাড়া ছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান। সমিতির জীবনসদস্যসহ প্রায় ২৫ হাজার অতিথি মেজবান ভোজে অংশ নেন।
সংগঠনের সভাপতি লায়লা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিঞা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আবদুল¬াহ আল নোমান, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার সাবেক সভাপতি মো. আজিজুল হক চৌধুরী, আবু আলম চৌধুরী, রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সাবেক সচিব আমম নাছির উদ্দিন, উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সাবেক সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন খান ও পদক কমিটির সদস্য সচিব শফিকুর রহমান শফিক।
বক্তারা চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় দেশের অগ্রগতিতে চট্টগ্রামের অবদানের কথাও তুলে ধরেন তারা। তারা বলেন, সব ধরনের রাজনৈতিক মতভিন্নতা ও আঞ্চলিকতার বাইরে এসেই বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। সভায় চট্টগ্রাম ও দেশের উন্নয়নে সমিতির পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টলশিখা মোড়ক উন্মোচন ছাড়াও খ্যাতিমান শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অন্যদের মধ্যে বিচারপতি হাবিবুল গনি, বোরহান উদ্দিন জাহেদী, মাহমুদুল হক, জেবিএম হাসান, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন আহমেদ, বাংলা একাডেমির সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ড. আহমদ কবিরসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।