স্টাফ রিপোর্টারঃ
‘নদী-চর, খাল বিল, গজারির বন’ টাঙ্গাইল বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং অন্যতম সমৃদ্ধ জেলা। এই ঐতিহ্য দেশবাসী এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য ‘চলো ঘুরি বাংলাদেশ’ এই স্লোসান নিয়ে টাঙ্গাইলের একদল তরুন মোটরসাইকেলযোগে সমগ্র বাংলাদেশ ভ্রমনের জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই দলটি ৬৪ জেলার প্রধান প্রধান স্থানে টাঙ্গাইলের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সম্ভাবনাময় পর্যটক স্পর্টের বর্ণানা তুলে ধরার পাশাপাশি জাতীয় সচেতনমূলক প্রচারণা চালাবে। এ জন্য আগামী ডিসেম্বরের মাসের শেষ সপ্তাহে যেকোন একটি জেলা থেকে তারা যাত্রা শুরু করবেন। এসএম রনি একটি বই পড়ে প্রথমে তিনি এ ধরণের কাজ করার উদ্যাগ গ্রহণ করেন।
এই লক্ষে তাদের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের স্যান্ডি রেষ্টুরেন্টে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌর শাখা’র সভাপতি সাংবাদিক রাশেদ খান মেনন’র সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, ড. আজাদ খান, তমাল বিহরি, পিন্স, রঞ্জিত পাল প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা ভ্রমনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সম্ভাবনাময় পর্যটক স্পর্টের বর্ণানা তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এটি বাস্তবায়নের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরের টাঙ্গাইলের স্টেডিয়াম থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্যাশে মোটরসাইকেলযোগে যাত্রা শুরু করবেন বলে সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়। পুনরায় তারা টাঙ্গাইল এসে তাদের ভ্রমন শেষ করবেন।
এ ব্যাপারে ‘চলো ঘুরি বাংলাদেশ’-এর উদ্যাক্তা এসএম রনি বলেন, আমি প্রায় এক মাস আগে একটি ভ্রমনকাহিনীর গল্প পড়ি। সেখানে কয়েকটি দেশ ঘুরারর পর ওই ব্যাক্তি আত্মহত্যা করেন। তখন আমি চিন্তা করি দেশের ৬৪টি জেলায় ভ্রমনের মাধ্যমে কিভাবে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্যতুলে ধরা যায়। সে লক্ষে আমি কাজ শুরু করি। এই ধারাবাহিকতরায় আমি বিভিন্নভাবে টাঙ্গাইল তরুণসমাজসহ বিভিন্ন পেশার লোকদেরকে একত্রিত করার চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এ লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য শনিবার সন্ধ্যায় আমরা একটি আলোচনা সভার আয়োজন করি। সেখানে এটি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এটি বাস্তবায়নের জন্য আমাকে আহবায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বিভিন্ন ধরনের কাজ করবেন।
তবে এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতার কামনা করেন তিনি।