স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা ছাত্রদলের সম্মেলন ব্যতিত ভারপ্রাপ্ত কমিটি গঠণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গঠণতন্ত্রে সংগঠণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ করার কোন বিধান না থাকা স্বত্তেও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদক নিয়ম বর্হিঃভূত ভাবে পদত্যাগ করেছেন। একই সাথে পদত্যাগ নেয়া ওই নেতারা দলীয় জেষ্ট্যতা লংঘন করে নিজের পছন্দের নেতাদের দিয়ে একটি ভারপ্রাপ্ত কমিটি গঠণ করেছেন। দলীয় নিয়মানুযায়ি মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে শুধু সম্মেলন পরিচালনার জন্য একটি ভারপ্রাপ্ত কমিটি গঠণ করা যায়। তবে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের পদত্যাগ নেয়া ওই নেতারা কমিটি বিলুপ্ত না করেই ব্যক্তি পছন্দের নেতাদের দিয়ে ওই ভারপ্রাপ্ত কমিটি গঠণ করেছেন। পদত্যাগ ও ভারপ্রাপ্ত এ কমিটি গঠণ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কোন লিখিত অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে বলেও দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা।
এ নিয়ে পদত্যাগী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক বলেন, বর্তমানে খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও শফিকুর রহমান খান শফিক সাংগঠনিক সম্পাদক পদাধিকারী হওয়ায় ও দলের নিয়মানুযায়ি এক নেতার এক পদ রাখার আইন রক্ষায় জেলা ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক পদত্যাগ করেছেন। এছাড়াও তারা দলীয় গঠণতন্ত্রের কোন জেষ্ট্যতা লংঘন করেননি বলেও জানান তিনি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত কমিটি গঠণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রোকনুজামান মাসুদ দলীয় কর্মকান্ড থেকে বিচ্যুত হওয়ার ফলে ও দ্বিতীয় সহ-সভাপতি আওয়ামীলীগের যোগদানের কারণে তৃতীয় সভাপতি মনিরুজামান জুয়েলকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদকের দয়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এছাড়াও সম্মেলন ব্যতিত কোন ভারপ্রাপ্ত কমিটি গঠণের ইখতিয়ারও রাখেনা জেলা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেও জানান তিনি।