নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ভাতিজার জায়গা দখল করার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। তাদের অত্যাচার নিপিড়নে ৩ মাস ধরে ঘড়ছারা রয়েছে ভাতিজা ইউসুফ ও তার স্ত্রী সুমা বেগম। এ নিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে ঘড়ছাড়া দম্পতি নিজ বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলে চাচার পক্ষের লোকজনের সাথে হাতাহাতি হয়।
জানা যায়, উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের মৃত নজের আলীর ছেলের সাথে দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের মৃত সমেজ আলীর মেয়ে সুমার সাথে গেলো ২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ১ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ইউসুফের বাড়ির লোকজন সুমা কে মেনে নিতে পারেনি। ইউসুফের দাদা মৃত্যুর পূর্বে ইউসুফের নামে ৮৫ শতাংশ জায়গা লিখে দিয়ে যায়। ইউসুফের বাবা মৃত হওয়ায় আর ইউসুফের কোন ভাই না থাকায় সেই সুযোগে জমি দখলের উদ্দেশ্যে তার চাচা সোরহাব ও তার চাচি রুমা বেগম এই দম্পতির উপর অত্যাচার শুরু করে। আর ফুসলিয়ে ইউসুফের মা কহিনুর বেগম ও তার বোন লালবানু কেও তাদের দলে নেন। যার ফলে মাঝে মধ্যেই ইউসুফকে মারধর ও ঝগড়া করতো তার চাচ সোরহাব। আর জমি দখলের ষড়যন্ত্রে সোরহাবের সাথে যোগ দিয়েছে প্রতিবেশি আশরাফ, রমেজ উদ্দিন, সোনামিয়া (গুতু), রাকিব।
ইউসুফের স্ত্রী জানায়, সোমবার দুপুরে আমি আমার মা ও খালাকে নিয়ে শশুড় বাড়িতে যাওয়া মাত্র ননদ লালবানু অশ্লিল ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে। এবং শাশুড়ি, চাচি শাশুড়ি রুমা ও তার মেয়ে, সোনিয়া ও ছেলে রাকিব আমাদের উপর হামলা চালায়। গাছের ডাল ও সাড়ক দিয়ে রাস্তায় ফেলে আমাদের পেটাতে থাকে। পরে রাস্তার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে।
ইউসুফ জানায়, আমার জমি দখলের জন্য আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে অন্যায় অত্যাচার করা হচ্ছে। যাতে আমি আমার স্ত্রী নিয়ে বাড়িতে না থাকতে পারি। আর সেই সুযোগে আমার জায়গা তারা ভোগ করতে পারে। আমি গত ৩ মাস ধরে নিজের বাড়িতে থাকতে না পেরে শশুড় বাড়ি গিয়ে থাকি। এর আগে আমার চাচার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলাম। আমি আমার চাচা ও চাচির ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি চাই। প্রয়োজনে আমি আবারও আইনের আশ্রয় নেব।
ইউসুফের চাচি রুমা বেগম জানান, ইউসুফের উষ্কানিতেই আজ হাতাহাতি হয়েছে। তারা পরিকল্পনা করেই আমাদের বাড়িতে এসেছিলো। তারা কোন কথাবার্তা ছাড়াই আমাদের উপর গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এতে আমি সহ ইউসুফের মা ও তার বোন আহত হয়েছে। ইউসুফের স্ত্রী ও শাশুড়ি অত্যান্ত ঝগড়াটে প্রকৃতির লোক। আমাদের উপর বিনা কারনে তারা যে হামলা করেছে আমরা তার বিচার চাই।
এদিকে ঘড়ছাড়া দম্পতি চাচা, চাচি ও তার লোকজনদের হাত থেকে পরিত্রান পেতে ও তাদের উপর হামলার বিচার পেতে দেলদুয়ার থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, ভুক্তভোগী সুমা আমাকে তাদের ব্যাপারে জানালে আমি তাকে তার শশুড় বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেই। মারামারির ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি। তবে সুমা চাইলে যে কোন ধরনের সহযোগীতা করতে আমি প্রস্তুত আছি।