স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে মা ইলিশ নিধন বন্ধে জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলো ধ্বংস না করে সেগুলো বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি মা ইলিশ নিধন বন্ধে যমুনা নদীতে অভিযান চালায় বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ পুলিশ। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জেলেদের কাছ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জেলেদের একেকটি জাল তৈরিতে খরচ হয় ১৫/২০ হাজার টাকা। অথচ জব্দকৃত জাল ধ্বংস না করে সেগুলো স্থানীয় দালাল মতিয়ার রহমানের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ পুলিশের ইনচার্জ বাবর আলী। এছাড়াও নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে জেলেদের ভয় দেখিয়ে মাছ নেয়ার অভিযোগ করেন একাধিক জেলে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যমুনা নদী থেকে জব্দকৃত দুইটি জাল দালালের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়াও সম্প্রতি আরো ৫টি জাল বিক্রি করা হয়েছে। দালালের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে এসব জাল আল-আমিন, তরিকুল, হুমায়ুন ও মোস্তফা নামের স্থানীয় জেলেরা ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে।
গোড়িলাবাড়ি গ্রামের মতিয়ার রহমান মতি জানান, যমুনা নদী থেকে মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় পুলিশি হয়রানি বন্ধে কয়েকজন জেলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়া হয়েছিল নৌ পুলিশকে। তারপরও তারা জোরপূর্বক জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে আসতো। সম্প্রতি আমার আত্মীয়স্বজনের দুইটি জাল নৌ পুলিশ জব্দ ফাঁড়িতে নিয়ে গেলে সেগুলো পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কালিহাতী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কেউ মৎস্য অফিসের সাথে যোগাযোগ করেনি। কতগুলো জাল তারা জব্দ করেছে সে বিষয়টিও আমরা অবগত নই। সেগুলো ধ্বংস না কি করা হয়েছে সেটাও জানানো হয়নি। সম্প্রতি যমুনা নদীতে অভিযানে কারেন্ট জাল জব্দ করলে স্থানীয় মতিয়ার নামের এক দালাল তা ছাড়িয়ে নিতে যোগাযোাগ করেছিল।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাবর আলী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সম্প্রতি যমুনা নদী থেকে জব্দ করা জাল কালিহাতী মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে ফাঁড়ির সামনে ধ্বংস করা হয়েছে।