ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
আগামী ১৮ ডিসেম্বর(শুক্রবার) টাঙ্গাইলের প্রয়াত কবি মুজাফ্ফর আলী তালুকদারের ৭১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৪ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের শাইট শৈলা গ্রামে এক মুসলিম সম্ভান্ত পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম ছাবেদ আলী তালুকদার। মাতা আফসান নেছা। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু। এরপর টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্কুল কলেজে অধ্যায়ন করে সরকারি এমএম আলী কলেজ হতে এমএ প্রথম পর্ব (বাংলা) পাস করেন। কর্ম জীবনে প্রায় পুরো সময় কাটান শিক্ষকতা করে। কিছু দিন তিনি ছাপাখানার ব্যবসা করেন। মুজাফ্ফর আলী তালুকদার তাঁর বহুমুখী প্রতিভার মাধ্যমে উপন্যাস, নাটক, ছড়া, কাব্য ও গল্প রচনা করেন। তাঁর ২১টি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
শীতের সকালে সোনালী রোদ ছিল মুজাফ্ফর আলী তালুকদারের ভীষণ প্রিয়। প্রায় প্রতিটি শীতের সকালেই বাড়ির আঙ্গিণায় বসে তিনি সোনালী রোদের আঁচ উপভোগ করতেন। সেখানেই তিনি বিশ্রাম নিতেন। আজও তিনি সেখানেই আছেন অন্যতর এক বিশ্রামে, গভীরতর এক ঘুমে। ভোর রাতে গাছপালা-লতাপাতা চুয়ে ঝরবে শিশির কনা। পাখি গাইবে, ফুল ফুটবে। তার জন্ম ভিটা শাইট শৈলার গাছ-গাছালি আর শ্যামল মৃত্তিকা তাকে প্রথম জানাবে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা। বলবে শুভ জন্মদিন। শুভ এই দিনটিকে গিরে প্রকৃতি তার নিজস্ব ভাষায় পাঠ করবে মুজাফ্ফর আলী তালুকদারের লেখা কবিতা- এখনো তোমার সফর হয়নি শেষ/তুমি ফিরে এসো হে মুসাফির/ তোমার রচিত পাতার কুটিরে/ তুমি ফিরে এসো আধার ভেঙ্গে/ ফাল্গুনি চাঁদ হয়ে/ তোমারই প্রতিক্ষায় এখনো/ জাগ্রত মধুর পূর্ণিমা।
প্রয়াত কবি মুজাফ্ফর আলী তালুকদারের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টম্বর সর্বজন গ্রহনযোগ্য মুক্তমনা এই কবি না ফেরার দেশে চলে যান।