ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার অভিযোগে ৫ পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখা হয়েছে। উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের বন্দ্য কাওয়ালজানী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। উয়ার্শী ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মল্লিক সামাজিকভাবে একঘরে (বন্ধ) করার প্রতিবাদে ওই ৫ পরিবারের সদস্যসহ এলাকার লোকজন নিয়ে শুক্রবার(১০ জুন) মির্জাপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মল্লিক লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ২৮ মে পঞ্চম ধাপে মির্জাপুর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল শাফি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে উয়ার্শী ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে দল থেকে বহিস্কার করে। এরপর থেকেই আব্দুল্লাহেল শাফি উয়ার্শী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট না দিতে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়। নির্বাচনে আব্দুল্লাহেল শাফি পরাজিত হওয়ার পর তিনি ও তার বাহমভুক্ত আজিজ মিয়া, মাওলানা কাইয়ুম, ওমর আলীসহ তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ জুন মসজিদ উন্নয়নের কথা বলে বাদ মাগরিব বন্দ্য কাওয়ালজানি মসজিদে এক সভা ডাকেন। ওই সভায় গ্রামের জহিরুল ইসলাম, দারগ আলী, আলমগীর হোসেন, আফজাল হোসেন, সেলিম মিয়া, শহিদুর রহমান, শফিকুল ইসলামকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অপরাধে সামাজিকভাবে এক ঘরে (বন্ধ) করে দেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই ৫ পরিবার ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ড করতে পারছেন না বলে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। এছাড়া ওই ইউনিয়নের অনেক ভোটার আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, উয়ার্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক মুরাদ হোসেনসহ ওই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও ভোটারা উপস্থিত ছিলেন।