মির্জাপুর সংবাদদাতাঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলার প্রধান আসামী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জসিমকে(৩৫) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার(২৫ নভেম্বর) সকালে মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানি পূর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে।
হত্যা মামলার প্রধান আসামী জসিম বুধবার(২৫ নভেম্বর) ভোরে বাওয়ার কুমারজানি গ্রামে চুরি করে পালানোর সময় এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলার প্রধান আসামী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগমের সাথে একই গ্রামের কালু মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সাজেদা বেগম স্বামী আব্বাসকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা, প্রেমিক কালু মিয়া ও সাজেদার ভাই জসিম মিলে ভাড়াটিয়া খুনি রাইজ উদ্দিন, জালাল ও ছানোয়ারকে নিয়ে ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর রাতে মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাসকে হত্যা করে বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রাখে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ওই হত্যার ঘটনায় আব্বাসের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদি হয়ে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর কালু ও রাইজ উদ্দিনসহ ৮ জনেক অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লায়ন শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া গত ১২ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। ওই মামলা থেকে অপর দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, মির্জাপুর উপজেলার পৌর সদরের বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে জসিম, আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগম, নশকর আলীর ছেলে কালু মিয়া, কটু মিয়ার ছেলে রাইজ উদ্দিন, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে জালাল ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ছানোয়ার। তারা সবাই টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই মামলায় আদালতের বিচারক ধামরাই এলাকার পারভেজ ও মুক্তার নামে দুই আসামীকে মামালা থেকে অব্যাহতি দেন।