গণবিপ্লব রিপোর্টঃ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বাংলাদেশে ভোটাধিকার থাকবে না। তারা দেশে কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সেই সাথে সরকারি চাকুরিতেও তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেশের রাজাকারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি। তবে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা শেষ করার পর রাজাকারের তালিকা সম্পন্ন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলাম হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের একনিষ্ঠ এজেন্ট। এই দলের বর্তমানে অঘোষিত আমীর হচ্ছে খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আর এ কারণে বিএনপি নেত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা নিয়ে একের পর এক আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে পাকিস্তানকে খুশি রাখার চেষ্টা করে চলেছে। ইতোমধ্যেই যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে এবং খুব শীঘ্রই নিষিদ্ধ হচ্ছে। বুধবার(১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের প্যাড়াডাইস পাড়াস্থ টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন, পুলিশ সুপার সালেহ্ মোহম্মদ তানভীর, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার খন্দকার জহুরুল হক ডিপটিসহ বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের আচরণে জনগণ ক্ষুব্ধ। তাই পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ তাদের সম্পর্কটা কমিয়ে দেবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য পাকিস্তান এবং বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিকালে দেলদুয়ার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।