শিক্ষকরা নিজ কলেজে ফিরে আসবে, শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা। একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী। এখন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। একাধিক পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ হয়েছে। ঢাকা বিভাগে ৮১টি সরকারি কলেজ রয়েছে। আর ঢাকা মহানগরীতে সরকারি কলেজের সংখ্যা ১৫টি। এই ১৫টি ছাড়াও আরো কমপক্ষে ৮টি কলেজে শিক্ষকরা সংযুক্ত রয়েছেন। শুধু ঢাকা মহানগরীর কলেজ, মাউশিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে চার শতাধিক শিক্ষক সংযুক্ত রয়েছেন। ঢাকার সরকারি কলেজের মধ্যে ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে সংযুুক্তির শিক্ষক ঢাকার অন্য কলেজগুলোর চেয়ে বেশি। এর বাইরে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম বাণিজ্য কলেজ, সিলেট বিভাগে এমসি কলেজ, সিলেট কলেজ, সিলেট মহিলা কলেজ, রাজশাহী বিভাগে রাজশাহী কলেজ, নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী মহিলা কলেজ, রাজশাহী সিটি কলেজ, এডওয়ার্ড কলেজ, বরিশাল বিভাগের সরকারি বিএম কলেজ, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ, বরিশাল কলেজ, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, খুলনা বিভাগে বিএল কলেজ, খুলনা মহিলা কলেজে সংযুক্তির শিক্ষক রয়েছেন। সাতক্ষীরার তালা সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি পিআরএলে যাওয়া অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, যারা মফস্বলের কলেজগুলোয় অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকেন তারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাকে সাধুবাদ জানাবে। তিনি বলেন, মফস্বলের কলেজগুলোয় শিক্ষক সংকটের চিত্রটা আমরা জানি। ১৫টি সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) বিভিন্ন সংস্থায় সংযুক্তি নিয়ে থাকা অন্তত ৪০০ সরকারি কলেজ শিক্ষককে রাজধানী ছাড়তে হবে। একই সঙ্গে বিভাগীয় শহরের সরকারি কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরের কলেজগুলোতে সংযুক্তির মাধ্যমে থাকা আরো ৫০০ শিক্ষককে চলে যেতে হবে মাঠপর্যায়ে নিজ কর্মস্থলে। সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংযুক্তি বাতিলের জন্য গত বৃহস্পতিবার(১৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের পর মাঠপর্যায়ের কলেজগুলোতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার একটি বিভাগে ১২ জন শিক্ষকের স্থলে ২৪ জন রয়েছেন। তবে ঢালাওভাবে সংযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকদের সরিয়ে নেয়াটা কোনো কাজের কথা নয়। এর প্রভাব পড়ে শিক্ষার মানের ওপর। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। সরকারি কলেজ শিক্ষকদের ঢাকায় থাকার প্রবণতা বেশি। তারা মফস্বলে থাকতে চান না। সে কারণে মফস্বলের কলেজে শিক্ষক সঙ্কট বেশি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মফস্বলের কলেজগুলোয় শিক্ষক সঙ্কট কাটবে, শিক্ষার মান বাড়বে বলে দেশের বিশিষ্টজনেরা মনে করেন।