ভূঞাপুর ১৩ ডিসেম্বর : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর এলাকার একটি রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র ও থানার ওসির মধ্যে বিরোধ ব্যক্তিগত পর্যায়ে পৌঁছার অভিযোগ উঠেছে। আর এ বিরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে উন্নয়নমূলক কাজ। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ভূঞাপুর পৌর মেয়রের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ। তিনি বলেন, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড ও ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ মোড়ে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। আর বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যা সবার জানা। যানজট ও জলাবদ্ধতা থেকে পৌরবাসীকে মুক্তি দিতে সব নিয়ম মেনে ফসলআন্দি মেধা বিকাশ থেকে ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সোনালী ব্যাংক হয়ে ঘাটান্দি নতুনপাড়া পর্যন্ত ৪৪০ মিটার লম্বা সরু রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও ৬৩০ মিটার ড্রেন নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
পৌর মেয়র বলেন, ঠিকাদার ৪০০ মিটার রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ করেছেন। ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশের জমির মালিক রাস্তা সম্প্রসারণে বাধা দেন। তিনি রাস্তা সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে রিট করলে নিম্ন আদালতে যাওয়ার কথা বলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। পরে জমির মালিক নিম্ন আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। মামলাটি শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, ‘আদালত কাজ বন্ধের কোনো আদেশ দেননি। ঠিকাদার রাস্তার কাজ করতে গেলে ভূঞাপুর থানার ওসি বাধা দেন। তিনি অনেক মানুষের সামনে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি কিভাবে মেয়র নির্বাচিত হই তা দেখে নেবেন। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন হুমকিতে আমার ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় হয়েছি। রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণ জনস্বার্থে করা হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়।’
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মামলা চলাকালে রাস্তার কাজ করার সুযোগ নেই। ব্যক্তিগত আক্রমণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করবেন। ভালো কাজ করলে জনগণ ভোট দেবে। এ ক্ষেত্রে আমার কোনো ভূমিকা নেই।’ হুমকির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
তথ্য সূত্র : কালের কণ্ঠ