গোপালপুর প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের আজগড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে গোপালপুর থানায় শনিবার(১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জলিল জানান, আজগড়া গ্রামের দিনমজুর আসলাম মিয়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তিন মাস আগে পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়ে সেনেরচর শাহ সুফি আলীম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মাজহারুল ইসলাম বাবলুর দ্বারা ধর্ষিত হয়। তিন মাসের ব্যবধানে গর্ভধারনের লক্ষণ প্রকাশ পেলে ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে ঘটনা খুলে বলে। বিপদ আঁচ করে শিক্ষক মাজহারুল ওই ছাত্রীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। ভিকটিমের বাব-মা এ ঘটনা মেয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীনকে জানালে তিনি টাকার বিনিময়ে ঘটনা মিমাংসার জন্য চাপ দেন। রাজি না হলে প্রাণ নাশের হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক। পরে গত বুধবার(১৩ এপ্রিল) রাতে গোপালপুর থানা পুলিশ জিম্মি করে রাখা স্কুললছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিৎিসার জন্য গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ওসি আরো জানান, মামলার মূল আসামী মাজহারুল। তবে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে আজগড়া নিন্ম মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীনকেও আসামি করা হয়েছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শনিবার(১৬ এপ্রিল) টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।