এ কিউ রাসেল :
নানা আয়োজনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মাহমুদপুর-পানকাতা গণহত্যা দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে পানকাতা হাইস্কুল মাঠে শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মিলাদমাহফিল এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গোপালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতিত্ব অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা একাত্তরের কাদেরিয়া বাহিনীর হনুমান কোম্পানীর কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল।
বক্তব্য রাখেন, গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদার, ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মীর ফারুখ আহমাদ, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মরিয়ম আক্তার মুক্তা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমা-ার আবদুস সোবহান তুলা, সাবেক কমা-ার আবদুল কাদের তালুকদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার খসরু, ধনবাড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা স. ম জাহাঙ্গীর আলম, বলিভদ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরুজ্জামান মিয়া, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শফিকুল ইসলাম তালুকদার, পানকাতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোফাখখারুল ইসলাম, লতিফুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, একাত্তর সালের এ দিনে হানাদার পাক বাহিনী অভিযান চালালে বীরমুক্তিযোদ্ধা একাত্তরের কাদেরিয়া বাহিনীর হনুমান কোম্পানীর কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে রসদ ফুরিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। হানাদার বাহিনী তখন শতাধিক মানুষকে আটক করে পানকাদা ইদগাহ মাঠে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ১৯ জন নিতহ হয়। অবশিষ্টরা গুরুতর আহত হয়। শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়।