ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে পরকীয়াসহ যৌন কেলেঙ্কারীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছুদিন আগে ওই শিক্ষকার যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক), বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুনের এমন যৌন কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
অভিযোগে জানা যায়, জেলার ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বোরহান মিঞার মেয়ে ফাতেমা খাতুনের এক যুগ আগে পৌর এলাকার সাব্বিসা গ্রামের সানোয়ার হোসেন সানার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামীকে মানুষের কাছে খারাপ আখ্যায়িত করে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। যা ওই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আড়াই বছর আগে প্রি-প্রাইমারিতে চাকুরির সুবাধে গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ফাতেমা খাতুন। যোগদানের এক বছর পর স্থানীয় শিক্ষক কামাল হোসেনের সাথে তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় ওই শিক্ষিকার স্বামী জানতে পেরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বাবার বাড়িতেও জায়গা হয়না তার। তবুও ছাড়েননি পরকীয়া। বিভিন্ন জায়গায় প্রেমিককে নিয়ে রাত কাটানো তার নিত্য সপ্তা’র ঘটনা। অভিযোগে উল্লেখিত স্থানগুলোতে খোঁজ নিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুনের মুঠোফেনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ভূঞাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।