কালিহাতী সংবাদদাতাঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় পুলিশ কর্তৃক ট্রাক চালককে পিটানোর প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পুলিশ বাঁধা দিলে শ্রমিকদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে এলেঙ্গা চৌরঙ্গী হোটেলে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নিকট অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কালিহাতী থানার এএসআই মেহেদী হাসান ট্রাক চালক আলী আকবরকে বেধরক মারপিট করে। পুলিশের পিটুনিতে আলী আকবর গুরুতর আহত হলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে। এতে প্রায় এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ভোগে পড়েন শতশত যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী।
পিটুনির শিকার ট্রাক চালক আলী আকবর বলেন, আমার ট্রাকের সাথে অন্য গাড়ীর ধাক্কা লাগায় কালিহাতী থানার এএসআই মেহেদী হাসান আমাকে হাত কড়া পড়িয়ে বেধরক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। আমার মোবাইল মানিব্যাকসহ টাকা নিয়ে নেয়। পরে কালিহাতীর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মুনছুর আল আরিফ ও সেকেন্ড অফিসার এসআই মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের আক্রমনের শিকার হয়। এ সময় এসআই মেহেদী হাসান দু হাত তুলে শ্রমিকদের কাছে ক্ষমা চান।
খবর পেয়ে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বনিক সমিতির সভাপতি মোতালেব সিকদার ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল হালিম সরকার আওয়ামী লীগ নেতা নুরে-এ-আলম সিদ্দিকী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মুনছুর আল আরিফ ঘটনার সতত্যার স্বীকার করে বলেন, এএসআই মেহেদী হাসান ট্রাক চালক আলী আকবরকে মারপিট করায় ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। অভিযুক্ত এএসআই মেহেদী হাসানকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।
এলেঙ্গা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ প্রতিনিয়তই আমাদের(শ্রমিক) উপর মারপিট অত্যাচার করে। আমরা কিছু বলতে পারিনা। এবার শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ মিছিল করেছে। পুলিশ এসে স্থানীয় শ্রমিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশ্বাস দেয়।