স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ী গাইড বাঁধ এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গাইড বাঁধের বাইরে প্রায় আটশ’ মিটার যমুনা নদী গর্ভে বিলন হয়ে গেছে। এর ফলে অন্তত ৪০টি বসতভিটা, ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে যমুনা নদীর এ অংশে ভাঙ্গন ও ধ্বসের ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন এর আগে দু’টি ধসে যাওয়া স্থানে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়। তবে তা কোন কাজেই আসছে না।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১০০ মিটার পাথর ও ১৮ মিটার ব্লক দিয়ে বিগত ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোহালীয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বাঁধের কোল ঘেষে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর ফলে নদীর তলদেশের নীচের অংশের মাটি সরে গেছে। আর সে কারণেই ধ্বসের ঘটনা ঘটছে।
ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বাধেঁর পাশের ৭টি গ্রাম। গ্রামগুলো হলো- গরিলাবাড়ী, বেলটিয়া, আলীপুর, বুরুপ বাড়ি, পৌলির চর, দৌগাতি ও বেঁড়িপটল। এখনি স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।