৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গোপালপুরে পাঁচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার ৫ প্রার্থীর বিপক্ষে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, আগামী ৩১ জানুয়ারি উপজেলার মির্জাপুর, আলমনগর, হাদিরা, নগদা শিমলা ও ধোপাকান্দি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে। ইউনিয়নগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১৬ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় দলীয় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
জানা যায়, ১৭হাজার ৮৬৪ ভোটারের মির্জাপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম লাভলুর নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবু ফারুক মিঞা। বিএনপির স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের মোখলেছুর রহমান মোখলেছ।
১৪ হাজার ৮৮৮ ভোটারের আলমনগর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেনের নৌকার বিপক্ষে আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান লুৎফর। বিএনপির স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের এহসানুল হক চৌধুরী।
২০ হাজার ৮৮ ভোটারের হাদিরা ইউনিয়নে বিলকিছ জাহানের নৌকার বিপক্ষে আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আজাদ ও ঘোড়া প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়া লীগ সদস্য আলমগীর হোসেন। বিএনপির স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকে আবুবকর সিদ্দিক।
২৫ হাজার ৯৮৩ ভোটারের নগদাশিমলা ইউনিয়নে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম হোসেন আলীর নৌকার বিপক্ষে আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য গোলাম মোস্তফা আঙুর। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে খন্দকার শহীদুল আলম।
১৭ হাজার ৮৬৪ ভোটারের ধোপাকান্দি ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলামের নৌকার বিপক্ষে আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল হাই ও ঘোড়া প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ জানায়, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সব রকম ব্যবস্থা গ্রহন করবে।