স্টাফ রিপোর্টডাকাত
টাঙ্গাইলে একসাথে দু’টি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে টাঙ্গাইল বিসিক শিল্প নগরীর জয়েন উদ্দিনের মালিকানাধিন ‘টাঙ্গাইল ডাল মিল’ নামে একটি কারখানা ও পৌরসভার আশেকপুর এলাকায় এক প্রবাসীর বাসায় একই সময়ে একইভাবে লোকজনকে আটকে রেখে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে নগদ টাকাসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে দুবর্ৃৃত্তরা।
বিসিক শিল্প নগরীর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আবুল মনছুর ও প্রবাসী হাফিজ সিকদার জানান, বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে একটি ট্রাকযোগে একদল ডাকাত সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে বিসিক শিল্প নগরীর ভেতরের টাঙ্গাইল ডাল মিলে ঢুকে ভেতরে থাকা তিন শ্রমিককে বেঁধে ৩০২ বস্তা মসুর ডাল নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
অপরদিকে, একই সড়কের পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আশেকপুর এলাকায় আমেরিকা প্রবাসী হাফেজ সিকদার তার দু’তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিটে স্বপরিবারে থাকেন। একই সময়ে একদল ডাকাত সদস্য ভবনের নিচের কলাপসিবল গেটের তালা ও পরে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে থাকা চারজনকে জিম্মি করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ডলার নিয়ে পালিয়ে যায়। রাতেই পুলিশ খবর পেয়ে কারখানা ও প্রবাসীর বাসায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এর আগেও এই সড়কের তিন কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রীর প্রায় ৮টি দোকানে একই রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়ও ট্রাকের ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় জিডি হলেও কেউ গ্রেপ্তার বা মালামাল উদ্ধার হয়নি। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণেই এমন ঘটনা বার বার ঘটছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। এছাড়াও বিসিক শিল্পনগরীতে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতি রাতে পুলিশের টহল টিম কাজ করলেও মহাসড়কের পাশে ট্রাক দাড় করিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও মাত্র কয়েকদিন আগে শহরের কলেজ পাড়ায় প্রথম শ্রেনির ঠিকাদার সৈয়দ মজিবুর রহমান ডিপটির বাসায়ও ডাকাতী সংঘঠিত হয়।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হাসান ভূইয়া, ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জানার পরেই দুটি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।