আল-আমিন খান/ শিপন মিয়াঃ
টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারার মির্জামাঠ এলাকার আজাহার মাষ্টার’র মালিকানাধীন একটি তিনতলা বাড়িতে আস্তানা গেড়েছিল জঙ্গিরা। গোপণে সংবাদ পেয়ে ওই জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। শনিবার(৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দীন ফারুকী শনিবার(৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু তখনও তিনি নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেন নি। এ সময় জঙ্গি আস্তানা থেকে ১টি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ১০টি চাপাতি, ২টি ছুড়ি, ২টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ এবং নগদ ৬৪ হাজার ৯৬২টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের দাবি, কাগমারা এলাকার আজাহার মাষ্টার’র বাড়িতে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তারা র্যাবের দিকে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি করে। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুইজনের মৃত্যু হয় বলে জানান কমান্ডার মহিইদ্দন ফারুকী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
অভিযানের বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি নাজমুল ভুঁইয়া জানান, ওই বাড়িতে ৭ জঙ্গি অবস্থান নিয়েছে- এমন গোপন খবরে র্যাব অভিযানে যায়। এ সময় র্যাবের সদস্যরা এক জঙ্গিকে ঝাপটে ধরলে কৌশলে ছুটে যায় এবং র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়।
অপরদিকে, ছাত্র পরিচয়ে দুই জঙ্গি টাঙ্গাইলের ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল বলে জানিয়ে বাড়িওয়ালা আজাহার মাষ্টার বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাড়ি ভাড়ার বিষয়ে আলোচনা শেষে ২৮ সেপ্টেম্বর ছাত্র পরিচয়ে দু’জন বাসা ভাড়া নেয়। পরিচয়পত্র চাইলে তারা সাত দিনের সময় চায়। শনিবার(৮ অক্টৈাবর) তাদের পরিচয়পত্র দেয়ার কথা ছিল । তিন তলার ওই বাড়িটির নিচ তলা ভাড়া নিয়েছিল তারা।
এদিকে, র্যাব-১২ এর কমান্ডার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাই যে, ওই বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলা হয়েছে। পরে খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই। ভিতর থেকে আল্লাহু আকবর বলে ‘স্লোগান’ দিয়ে জঙ্গিরা গুলি ছুড়ে। আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি। তাতে দুই জঙ্গি নিহত হয়।
র্যাবের ধারণা আসন্ন দুর্গাপূজা বা অঅওয়ামীলীগের জাতীয় কাউন্সিলে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে তারা পূর্ব নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিচ্ছিল।