আল-আমিন খান:
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের পাইকমুড়িল গ্রামের নূরাণী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকালে ওই মাদ্রাসার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে জড়িত ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেমকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির চাচি বলেন, প্রতিদিনের মতো শিশুটি ওই মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছিলো। বিকালের দিকে ওই শিক্ষক সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পা ছড়িয়ে লাইন করে বসতে বলে। ভাতিজীকে ওই কক্ষের পর্দার আড়ালে নিয়ে একই কায়দায় বসিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার রক্ত ক্ষরণ হলে তাকে এ ঘটনা না জানাতে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। একটি ওষুধ খাইয়ে শিশুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। রাতেই তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির দাদী বলেন, আমারা অত্যান্ত গরীব মানুষ। এর উপযুক্ত বিচার চাই। এমন ঘটনা যেন আর কারো না ঘটে।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের গাইনি বিশেষজ্ঞ রেহানা পারভিন বলেন, শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। বিস্তারিত রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হাসান ভুইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংবাদ পেয়েই এ ঘটনায় জড়িত ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।