নাগরপুর প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নুরজাহান নামের এক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বিনোদ বকুটিয়া গ্রামে।
নিহতর স্বামী মো. আফাজ মিয়ার দাবী তার স্ত্রী নুরজাহান (৫৫) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতর স্বজনরা এটাকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। থানা পুলিশ বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নিহতর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।
এলাকা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারড়া গ্রামের মৃত. সিরাজ মিয়ার নি:সন্তান কন্যা নুরজাহান বেগমের প্রায় দুই বছর পূর্বে বিনোদ বকুটিয়া গ্রামের আফাজ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার রাতে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতর স্বজনদের দাবী নুরজাহানকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। নিহতর স্বামী মো. আফাজ মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে আমার স্ত্রী নুরজাহানকে ঘরে দেখতে না পেয়ে ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলতে যাই। দরজা খুলতে না পেরে পাশের ঘরে আমার পুত্র বধূকে ডাক দেই। সে এসে দেখে বাহির থেকে ঘরের দরজার ছিকলে তালা দেয়া। পরে দরজা ভেঙ্গে আমি বাহিরে বের হই। পুত্র বধূকে নিয়ে আমার স্ত্রী নুরজাহানকে খুঁজি। খোঁজাখুজির এক পার্যায় রান্নার ঘরের ভিতর নুরজাহানের লাশ দেখতে পাই।
নিহতর বোন চায়না বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার বোন নুরজাহানের উপর তার স্বামীর বাড়ীর লোকজন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতো। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে ওই বাড়ীর লোকজন আমার বোন নুরজাহানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
এব্যাপারে নাগরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) ওমর ফারুক জানান, বিনোদবকুটিয়া গ্রামের নুজাহান নামের এক মহিলার আত্মহত্যা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না।