নাগরপুর প্রতিনিধি:
পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর কৃষক শ্রমিক জনতালীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার বিকালে উপজেলার মামুদনগর গ্রামে। আহত সম্পাদককে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করে।
এব্যাপারে আহতর পিতা মো. মহসিন মিয়া বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এঘটনায় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থিদাবী জানিয়ে স্থানীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করেন।
এলাকা ও ভূক্তভোগি পরিবার সূত্রে জানা যায়, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন (৩৮) মামুদনগর তার নিজ গ্রামের কবরস্থানের কয়েকটি কাঠ গাছ ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত কাঠ গাছের টাকা পরিশোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষ মামুদনগর গ্রামের শেখ জজের নেতৃত্বে ১০/১১জনের একটি সন্ত্রাসী দল মিলে সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এ্যালোপাথারী ভাবে মোটর সাইকেলের চেইন ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী আহত রুহুল আমিনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
কৃষক শ্রমিক জনতালীগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের উপর হামলার ঘটনায় সোমবার সকালে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের স্থানীয় কার্যালয়ে উপজেলা শাখার সভাপতি মো. বাবুল দেওয়ানের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী নেতা, যুগ্ন-সম্পাদক এটি এম সালেক হিটলু, মনোয়ারা মনি, আফসানা, রেজাউল করিম রেজাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ আহত রুহুল আমিনের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এবং অতিদ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থিদাবী করেন। পরে নেতৃবৃন্দরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত রুহুল আমিনের অবস্থার খোজখবর নেন।
নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, মামুদনগর গ্রামে গাছ ক্রয়কে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।