ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সরাতৈল উত্তরপাড়া গ্রামের বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহ মামলার সাজাভোগকারী আরিফুল ইসলাম রনির (২৭) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন নিকরাইল লোকমান ফকির চাইল্ড কেয়ার স্কুলের শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন (৩০)। শনিবার(৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে তিনি এ অনশন শুরু করেছেন। রনি ওই গ্রামের ডা. রহিজ উদ্দিনের ছেলে আর মাহমুদা একই গ্রামের মান্নান আকন্দের মেয়ে। রনি ও মাহমুদা সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন।
এলাকাবাসী জানায়, রনির সঙ্গে ১০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে শিক্ষকা মাহমুদা খাতুনের। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়। এর মাঝখানে রনি বিডিআরের চাকরিতে যোগ দেয়। বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় রনি জেলে থাকায় কিছুদিন তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রনি এলাকায় ফিরলে পুনরায় তাদের সম্পর্ক গতি পায়। আগের মতোই চলতে থাকে তাদের প্রেম। কিছুদিন আগে মাহমুদা রনিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু রনি তাতে রাজি না হয়ে টালবাহানা শুরু করে। আর এ কারণে কোনো উপায় না পেয়ে মাহমুদা শনিবার(৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রনির বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। টের পেয়ে ওইদিনই রনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রোববার(৬ মার্চ) রাতে এ নিয়ে এক গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে উভয়ের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মাতব্বররা। কিন্তু রনি ও তার পরিবার বিয়েতে রাজি না থাকায় তা আর শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।