সোহেল পারভেজ :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির দিকে। অন্ন, বন্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ সার্বিক দিকে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে রূপ নিতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতেও ঘটেছে ব্যাপক সাফল্য। সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা সম্পর্কে জনগণ নানামুখী দিকগুলি সবিস্তারে উপলব্দি করতে পারছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত করার অঙ্গিকার করেছিলেন তার অনেকটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বর্তমানে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকলেও ভূঞাপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা দিনে ২০/২৫ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা শান্তিপ্রিয় ভূঞাপুরবাসীর বর্তমানে গা সওয়া ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে ৭/৮ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতির মাত্রা চরমে। আর দু’মাস পরেই ছাত্র-ছাত্রীদের সমাপনি পরীক্ষা। দিনে অতটা ক্ষতি না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এত ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমত সমাপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছে না। শিক্ষার্থীসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে বিভিন্ন রকম ক্ষতির খেসারত দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। বিদ্যুতের ভোগান্তীর কথা উল্লেখ করে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহের সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ভূঞাপুরে বিদ্যুতের মোট চাহিদা ১৩ মেঘাওয়াট কিন্তু ভূঞাপুরে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে ৬/৭ মেঘাওয়াট। যার কারণে লোডশেডিং হয়ে থাকে। ভূঞাপুরে বেশির ভাগ জনবল অযোগ্য, অদক্ষ ও অস্থায়ী টেকনিশিয়ান দিয়ে কাজ করানোর ফলে ঘনঘন লোডশেডিং এবং মাঝে মাঝেই ফল্ট হয়ে থাকে প্রশ্ন করলে সহকারি প্রকৌশলী জানান এ কথা ঠিক নয়। ভূঞাপুরের সকল টেকনিশিয়ানই দক্ষ। যেহেতু মাত্র কয়েক মাস আমার চাকরির বয়স তার মধ্যেও যতটুকু জেনেছি সবাই খুব অভিজ্ঞ। সন্ধ্যার পর পিক ডিমান্ড থাকার কারণে অল্প বিদ্যুৎ দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না তাই লোড শেডিং হচ্ছে। ভুঁতুরে বিল, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরেও বিল, পুণ:বিলের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান বলতে বাধা নেই যে ডিজিটাল বিলিং পদ্ধতি চালুর পর কোন কোন সময় হঠাৎ করেই এমন ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে তবে খুব দ্রুত এসকল সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে অনেক নির্ভুল বিলই বর্তমানে হচ্ছে। ভূঞাপুরের জন্যও ঘাটাইল থেকে একটি সহযোগি লাইন হতে যাচ্ছে তাতে করে সমস্যার পুরাপুরি সমাধান না হলেও অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা করি। ভূঞাপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের ও ব্যবসায়ীদের কষ্ঠের ও ক্ষতির কথা বিবেচনা করে লোডশেডিং এর পরিমান কমিয়ে কমিয়ে আনা যায় কিনা তা নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন, এমনই প্রত্যাশা ভূঞাপুরবাসীর।