সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে পারাপারের জন্য মানুষকে বাঁশের সাকো ব্যবহার করতে দেখে মনে হচ্ছে তারা এখনও আধুনিকের ছোয়া পায়নি। কুমারপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামের বাড়ী সংলগ্ন মসজিদের পশ্চিম পার্শে¦ খালের উপর শাহজাহান খাঁর বাড়ীর নিকট ব্রীজ না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৬/৭ টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার জনসাধারনকে দীর্ঘদিন যাবৎ যাতায়াতের জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই বাঁশের সাকোর অবসান হবে কবে ? প্রশ্ন ওই এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের মুখে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইমলামের বাড়ী সংলগ্ন মসজিদের পশ্চিম পার্শে¦ খালের উপর শাহজাহান খাঁর বাড়ীর নিকট ব্রীজ না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৬/৭ টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার জনসাধারনকে দীর্ঘদিন যাবৎ যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই ৭ গ্রামের মানুষকে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, এই রাস্তা দিয়ে ৬/৭টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার জনসাধারন চলাচল করে থাকে। গ্রাম গুলো হলো কুমারপাড়া, উল্লাহ, রসপাল, বিলচতল, চন্দনপুর, বাড়ীকান্দি ও নলসন্দা ইত্যাদি। গ্রাম গুলো বর্তমানে চর জেগে উঠায় বিশাল এলাকা কৃষি উৎপাদনের জন্য ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। আর চরে যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তাটির উপর বাঁশের সাঁকো দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রতিবন্ধকতা ও যাতায়াতের চরম বিঘœ সৃষ্টি করে আসছে। ৬/৭টি গ্রামের জনসাধারন যেমন তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি ফসল এই রাস্তা দিয়ে পরিবহনে কোন যানবাহন ব্যাবহার করতে পারে না তেমনি ব্রীজ না থাকায় প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা উত্তর -দক্ষিনে ঘুরে আসতে হয়। এতে যেমন সময় অপচয় হয় তেমনি পরিবহন খরচ পড়ে যায় বেশি। ফলে কৃষকগণ উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মুল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছোট ছোট কমলমতি শিশুরা জীবনের ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণ করতে যায়। স্কুল- কলেজ, মসজিদে যেতে রাত-দিন সর্বদা এই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান জানান, এই বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হয়। ইতিপূর্বে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই আধুনিক যুগে অবহেলিত জনপদে ৬/৭টি গ্রামের জনসাধারনের পক্ষে আ’লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন জানান, এই খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মান করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সর্ব স্তরের কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন জানান, এলাকার মুরুব্বিসহ সাধারণ জনগণ আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। যাহাতে দ্রুতগতিতে ওই স্থানে ব্রীজ নিমার্ণ করা যায় সে ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চালাবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান।